নিউ সোনারগাঁ টোয়েন্টিফোর ডটকম : সদ্য ঘোষিত সোনারগাঁ উপজেলা আহবায়ক কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক  এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল। বর্ধিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল  কায়সার, যুগ্ন-আহবায়ক ও পিরোজপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম,  সদস্য ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমর, মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, আবু খাঁন, আশরাফুল জামান, রফিকুল ইসলাম নান্নু, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আলী হায়দার, জহিরুল হক, মাহবুব রহমান লিটন, এডভোকেট ফজলে রাব্বি, গাজী মুজিবুর, নাসরিন সুলতানা ঝরা ও মাসুদ রানা মানিক।

বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে অত্যন্ত ভালবাসতেন  এখনো বাসেন কিন্তু হেফাজতে ইসলামের নেতারা প্রধানমন্ত্রী এ ভালোবাসাকে  দুর্বলতা মনে করে তারা ইসলাম রক্ষার নামে বিভিন্ন জায়গায় হত্যা ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে। রেলস্টেশন, ভূমি অফিসে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতি করছে। সম্প্রতি সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে এক নারীকে নিয়ে ধরা পড়েন মামুনুল হক। তখন তিনি এ নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু তিনি নিজেই নিজের মিথ্যার জালে জড়িয়ে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হেফাজত সমর্থক ও বিএনপি-জামাতের কর্মীরা  নির্বিচারে রয়েল রিসোর্ট  ব্যাপক  ভাঙচুর করে। এর তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সোহাগ রনি’র বাড়ি ভাঙচুর করে। হেফাজতে ইসলাম তাণ্ডবে বিস্মিত হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বধিত সভায় তারা ঐকমত্য পোষণ করে বলেন এভাবে চলতে দেয়া যায় না। যারা আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে তাদেরকে কঠোর ভাবে দমন করা হবে। এছাড়া বর্ধিত সভায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সবাই এক সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।